ইলাস্ট্রেশন, ইগোর মর্স্কি
কবি শব্দের মাধ্যমে লেখেন। প্রকাশ করেন নিজেকে। একসময় ভাবতাম— আমি, আমরা, যারা কবিতা লিখি, আসলে আমরা ভাষার চর্চা করি। আজ মনে হয়, না। ভুল ভাবতাম। আমরা সবাই, যেকোনো শিল্পেই, বোধহয়, অনুভূতির চর্চা করি। ভাবনার চর্চা করি। আরও ভালোভাবে বললে, বোধের চর্চা করি। শুধু মাধ্যমগুলো আলাদা। কেউ ক্যামেরায়, কেউ শব্দে, কেউ মুদ্রায়, কেউ তুলিতে। ভাষা, অত্যন্ত জরুরি এবং প্রধান মেনেও বলছি, ভাষা একটা উপলক্ষ মাত্র। যা দিয়ে কবি তাঁর ভাবনাকেই অনুবাদ করছেন। ক্যামেরা, তুলিও তাই-ই। বাহন। যখন কোনো একটি সময়ের কবিতা নিয়ে কথা হয়, তখন যদি একটা ছোট আঞ্চলিক ও একটা ভাষা গণ্ডির ভেতরেই তা সীমিত থাকে তাহলে কি সেই সময়টাকে যথাযথভাবে ধরা যায়? আমরা তো খবরের কাগজ পড়ি, টিভিতে, ইন্টারনেটে জেনে নিই, দেখে নিই দেশবিদেশের খবর। গান। সিনেমা। জানলা দিয়ে পাশের বাড়িতেও উঁকি দিই। এগুলো সবই আমাদের চেতনাকে বিধৃত করে। এইভাবে পাশের বাড়ির ঘটনার সাথে, দেশের খবরের সাথে আমরা, নিজেরাও নিজেদের জীবনে জড়িয়ে যাই। জীবনকে যুক্ত করি। স্পিরিচুয়ালি অনেকটা বড় হয়ে যাই আমরা। বিশ্বহৃদয় পারাবারে এসে দাঁড়াই, এইভাবেই। ঠিক এই জায়গা থেকেই জানতে ইচ্ছে হয় এই সময়ে সারা পৃথিবীতে অন্যান্য ভাষায় কি ভাবছেন এই সময়ের কবিরা? তাঁদের অনুভূতির রং, উচ্চারণ, টিউনিং ও শেডগুলো, কবিতার আঙ্গিকগুলো জানতে ইচ্ছে হয়। বলা বাহুল্য এ সময়টাকে আরও ভালো ক’রে জানার জন্যেই, জীবনটাকে আরো একটু বড় করার বাসনা থেকেই এরকম বেয়াড়া ইচ্ছে। এবং অত্যন্ত স্বার্থপরজীবের মতো একান্তই নিজের জন্যে এ ইচ্ছে আমার। নিজেকেই জানার জন্যে। কিন্তু ভাষা তো জানি না। তখনই মনে হল, বাঙলাভাষাটা কি আমি জানি ঠিকঠাক? এখনও? কত বানান জানতে খুলতে হয় অভিধান। সিরিয়ার এক খ্যাতনামা সাহিত্যিক বলেছিলেন, ‘Language is insufficient to understand
people.’ আসলে Language is
insufficient to understand anything। যখন আমার নিজের ভাষায় লেখা কোনো একটি কবিতার সাথে আমি রিলেট করতে পারিনা, তখন এ কথাটা আরো বেশি ক’রে উপলব্ধি করি। উপলব্ধি করি, শুধু ভাষা নয়, অনুভূতিরও চর্চা করছি আমরা। ভাবনার চর্চা করছি। আমার ভাষায় লেখা যে কবিতাটির সাথে আমি রিলেট করতে পারলাম না, আসলে আমি সেই লেখাটির অনুভূতির কাছে পৌঁছতে পারলাম না। অথচ ভাষাটি আমার বোধগম্যই ছিল।
আমি যদি বৃষ্টির ভাষা, পাখির ভাষা, বন্যার ভাষা, জলের ভাষা বুঝতে, তাদের ছন্দ বুঝতে চেষ্টা করতে পারি; তাহলে এটাও একটু চেষ্টা করেই দেখিনা! আজ অবধি, অনেকেই, কবিতার অনুবাদ করেছেন। এখনও অনেক অসামান্য ভালো কাজ অনেকে করে চলেছেন, অনুবাদের ক্ষেত্রে, নিষ্ঠায় এবং অত্যন্ত পরিশ্রমে ও দক্ষতায়। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিদ্বান এবং পণ্ডিত ব্যক্তি। বিস্তর তাঁদের পড়াশুনো। এবং প্রচুর তাঁদের প্রস্তুতি। অনেকে ভাষাবিশেষজ্ঞও। কিন্তু আমার অস্ত্র সীমিত। আমি পণ্ডিত নই। কোনোমতে কলেজ ডিঙোনো অশিক্ষিতই। ফলে ইংরেজি অনুবাদ ছাড়া আমার পক্ষে এগোনো সম্ভব নয়। আমি প্রতিটি লেখাই ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছি। মূল ভাষা থেকে নয়। অনুবাদের ক্ষেত্রে বহুজনের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। এবং এত এত মতের মধ্যে, এই অশিক্ষিতেরও একটি মত রয়েছে। আমি যাঁর/যাঁদের কবিতা অনুবাদ করেছি, চেষ্টা করেছি তাঁর লেখা নিয়ে অন্যদের করা আলোচনাগুলো খুঁজে-পেতে পড়তে। কখনো কবির সাক্ষাৎকার, কিংবা কবিতা-ভাবনা বিষয়ক তাঁর গদ্য, তাঁদের যাপন ও লেখালিখি সংক্রান্ত আলোচনা, ব্যক্তিগত
গদ্য, সেই জায়গার আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, সেই ভাষার কবিদের কবিতা চর্চার পটভূমি জানার ও বোঝার চেষ্টা ক’রে, সম্ভব হলে কখনো কবির সাথে সরাসরি কথা ব’লে এভাবেই চেষ্টা করেছি
সেই কবির কাছাকাছি যেতে। কবির ভাবনার কাছে পৌঁছতে। এগুলো আমার অনুবাদে কতটা প্রভাব ফেলেছে, বা কতটা উপকার করেছে, কিংবা আদৌ তা করেছে কিনা তা আমি বলতে পারবো না। বা, এই পদ্ধতিই কবিতা অনুবাদের যথার্থ ও সঠিক পন্থা, এমন মূর্খের দাবিও আমার নেই। কিন্তু এভাবে করলে সেই কবির জীবনের বেশ খানিকটা অংশে ঢুকে পড়া যায়। এটা অনুভব করেছি। বেশ কিছুদিন সেই মানুষটার সাথে ওঠা-বসা-থাকা হয়ে যায়। কবির মেজাজ ও মননটিকে আঁচ করা যায়। আর, এটাকে আমার খুব জরুরি ব’লেই মনে হয়। এর ওপরেই নির্ভর করে শব্দচয়ন। কেননা, এক একজন কবি এক-একটি সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের সূতিকাগার থেকে উঠে আসেন। আমার মনে হয়েছে আমাকে তার পরিভাষাগুলো জানতে হবে। তার দ্রব্য মাটি না পাথরে, লোহা না ব্রোঞ্জে, মুদ্রা, মূর্তি, স্নানাগার, কুয়ো— যতদূর যাওয়া যায়, সবই জানতে হবে। চেষ্টা করেছি অনুবাদগুলোর মধ্যে সাবলীলতা রাখতে। এবং, বলা বাহুল্য আমার ভালোলাগা, প্রিয় লেখাগুলোই আমি বেছে নিয়েছি। যে লেখা আমাকে ভাবিয়েছে, আমাকে টেনেছে তার নিজের মাধ্যাকর্ষণে। কোনো একক মানুষের পক্ষেই এ কাজে খুব বেশিদূর এগোনো সম্ভব নয়। আমিও তা পারিনি।
পাঠকের উদ্দেশ্যে
একটি জরুরি কথা বলার, আমি আক্ষরিক অনুবাদ করিনি। ভাবানুবাদের প্রয়াস করেছি বলতে পারেন। আবার
ইংরেজিতে অনুদিত কবিতার থিমেটিকাল চেঞ্জও আমি করিনি। অন্তত ইংরেজি অনুবাদের
সাপেক্ষে ‘রূপকল্পগত অবিকল
সাদৃশ্য’১ রাখার
চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব লেখকের মূল সুর
ধরে রাখতে। প্রশ্ন হতে পারে, এগুলো তো সবই অনুবাদের
অনুবাদ; তাহলে ‘মূল সুর’ আর কোথায় কী রইল ! এগুলো ‘মাংসের ঝোলের ঝোলের ঝোল’ হয়ে যাচ্ছে কিনা সে
বিচার কে করবে? ঠিক। এবং, যাঁরা
কবিতার অনুবাদের ক্ষেত্রে ‘আক্ষরিক’ অনুবাদকে একমাত্র প্রয়োজনীয় শর্ত ব’লে মানেন,
কিংবা অনুবাদ কবিতায় মূল এবং বিশুদ্ধ কবিতাকে পেতে চান, কিংবা মূল ভাষা থেকে অনুদিত কবিতাকেই যথার্থ ও সঠিক ব’লে মানেন, তাঁদের বলব, আমার এ অনুবাদ তাঁদের না পড়াই ভালো। হতাশ হবেন। অনুবাদের ক্ষেত্রে আমার
স্বাধীনতা নেওয়া না-নেওয়ার দ্বন্দ্বে আমি কবিকে, তাঁর ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়েছি। খালি এটা খেয়াল রেখেছি, বাংলায় অনুদিত কবিতাটি যেন বিদেশি ভাষায় কথা বলার মতো জড়সড় এবং শুষ্কং
কাষ্ঠং না হয়। মূল ভাষাটি জানলেও হয়তো তাই-ই করতাম। কেননা কবিতার আক্ষরিক অনুবাদ কখনো সম্ভব নয়। আমি বিশ্বাস করি,
একটি কবিতা কবির যতখানি, অনুবাদকেরও
ততটাই। কেননা, ‘ভালো অনুবাদ শুধু মূল রচনার প্রতিনিধিত্বই
করে না, তার যুগের ও ব্যক্তিত্বেরও স্বাদ দেয়।’২ আর সময়ের সাথে কবিতার ভাষা, আঙ্গিক বদলায়; অনুবাদের ক্ষেত্রেও একই কথা
খাটে। নিজের কবিতা-বোধশক্তি, কবিতাবুদ্ধি অনুযায়ী আমি সে
স্বাধীনতা নিয়েছি। কেননা, কোনো ভাষার কোনো শব্দের জোর, দম, তার ব্যাপ্তি, সৌন্দর্য, তার ওজন ও তার পারিপার্শ্বিককে কখনো অনুবাদ করা যায় না। অনুবাদ কবিতা বিশুদ্ধ কবিতা না অশুদ্ধ কবিতা এ
তর্কে যাব না, বরং এভাবে ভাববো, একজন
পরিচালক যখন একটি গল্প বা উপন্যাসের আধারে একটি ফিল্ম বানান, কিংবা একজন শিল্পী যখন অন্য আরেক শিল্পীর গাওয়া গান যন্ত্রে বাজান বা
গান— তখন কি সেটা অনুবাদ নয়? এবং
স্বতন্ত্র মানুষের স্বতন্ত্র অনুভবে দুটো আলাদা এবং স্বতন্ত্র পরিবেশন নয়? যেখানে দ্বিতীয় পরিবেশনে প্রথমজনের দাগ থেকে যায়।
আরও একটা কথা, আমি যাঁদের লেখা অনুবাদ করেছি, তাঁরা প্রত্যেকেই গত শতাব্দীর নব্বই দশক (১৯৯০) বা তার পরবর্তী সময়ে লিখতে এসেছেন। কেউ শূন্য দশকেও। এবং সবাই না হলেও, প্রায় সবাই এই মহাদেশের, এই এশিয়া মহাদেশের। কয়েকজন রয়েছেন ইউরোপের।
এই কাজটা শুরু করার আগে ভেবেছিলাম, সমসাময়িক সময়ে অন্য ভাষার কবিতার একটা রূপরেখা আমি তুলে ধরার চেষ্টা করব এই অনুবাদগুলোর মাধ্যমে। কিন্তু লেখাগুলো যত এগোতে থাকলো, আমার নিজের ভেতরে তৈরি হওয়া পূর্ব-ধারণাগুলো ভাঙতে থাকলো তার সাথে। বুঝলাম, কোনো ভাষার কোনো সময়ের কবিতার রূপরেখা (সামগ্রিক অর্থে) তুলে ধরা আমার উদ্দেশ্য নয়। বিধেয়ও নয়। বস্তুত, কোনো একটি ভাষার একজন কি দুজন কবির কয়েকটি কবিতার অনুবাদের মাধ্যমে তা হয়ও না। আমার বরং মনে হচ্ছে, আমি যেন আমার সময়ে অন্য ভূগোলে-অন্য ইতিহাসে-অন্য ভাষায় বেড়ে ওঠা কোনো কবির কবিতা পড়তে পড়তে আসলে সেই কবির সাথেই আড্ডা দিচ্ছি। নিজেকে আবিষ্কার করতে পারছি অন্য ভাষার এই কবিতাগুলোর মধ্যে। যেভাবে একটি বাঙলা কবিতায় হয়। এবং সত্যি কথা বলতে কি আজ মনে হচ্ছে এই আড্ডা দিতে দিতে, তাঁদের লেখা পড়তে পড়তে, তাঁদের কারোর কারোর সাথে কবিতা নিয়ে নানান কথা বলতে বলতে, এই এতটা
সময় এই লেখাগুলোর সাথে কাটিয়ে, কিভাবে যেন একটা আত্মীয়তা গড়ে উঠেছে। হলোই-বা তা ‘ভায়া জব্বলপুর’।
ভীষণ চমকে গেছিলাম ইরানের ফার্সি ভাষার কবি আলি আবদোলরেজ়ায়েই-এর লেখা প’ড়ে। ওঁদের ‘নতুন কবিতা’র চর্চা আমাকে আবার সেই ভাবনার কাছে গিয়েছিল, যে, পৃথিবীতে কোনো ভাবনাই অযোনিসম্ভূত নয়। সময়ের দাগ সর্বত্র লেগে আছে। নইলে, নব্বই দশকের মাঝামাঝি যখন এই বাংলায় ‘নতুন কবিতা’র কাজ হচ্ছে, যেভাবে হচ্ছে, ঠিক একইসময়ে অন্য আরেকটি দেশে, অন্য ভাষার কবিতায় কিভাবে টেকনিক্যালি, এবং চিন্তা-ভাবনার জায়গায় এত সাযুজ্য পাওয়া যায়! ওঁদের (ইরানের, ফার্সি কবিতা) লেখাপত্র পড়তে গিয়ে হাতে আসে পারহাম শাহরজের্দির৩ একটি দুরন্ত সাক্ষাৎকার। কখনো সময় সুযোগ হ’লে এ আমি অনুবাদ করবোই। আমি এত উত্তেজিত হয়ে গেছিলাম ঐ সাক্ষাৎকারটি প’ড়ে যে, তক্ষুনি দেবাঞ্জন দাসকে ফোন করে শেয়ার করি আমার পাঠ-অভিজ্ঞতা। আমার মনে হচ্ছিল আমি ইংরেজিতে বারীন ঘোষালের সাক্ষাৎকার পড়ছি। ষোলো পাতার সেই দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের একটা অতি ছোট্ট অংশ দেওয়ার লোভ সত্যিই আটকাতে পারছি না। ব্যাকরণ, কবিতায় ব্যাকরণ, এই নিয়ে শাহরজের্দি বলছেন, ‘Think of
Grammar, in Persian… verbatim ‘the order of the tongue’. Order? A tongue that
orders the hand? Who gives the orders? Orders what? Grammar is a moral
construct that determines the future of language, according to certain
pre-given list of thou shalts and thou shalt-nots. But poetry and the poet are there to alienate
the order and the language of order, i.e. estranged from the world, to create a
new turn of phrase. However, for the danger poet, language is not a means, but
the end and object of work.’ আরো একটা ঘটনা শেয়ার করি। খুব সমস্যায় পড়েছিলাম যাঁর কবিতা অনুবাদ করতে গিয়ে। কুট্টী রেবতী (বাক্ ৭৫-এ
এঁর কবিতা রয়েছে)। কুট্টি রেবতী’র কবিতা তীব্র শরীর-চেতনার প্রাখর্য্য সম্পন্ন। এবং, সে শরীর একটি নারী শরীর। আমি মেয়ে নই। যৌবনের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে একটি মেয়ের শরীরে যে ‘চেতনা’ জাগছে, তা আমি কখনো প্রত্যক্ষ করিনি। সেই সুখ, সেই হর্ষ, সেই বিস্ময় আমি জানি না। তার সূক্ষ্ম জায়গাগুলো আমার কাছে একেবারেই অজানা, অচেনা। আবার যৌনতার চেনা-জানা সীমানা পেরিয়ে শিল্পভাবনা কোথাও একটা গিয়ে তো জেন্ডারলেস হয়েই যায়। অনুবাদগুলো প’ড়ে মেয়েরা হয়তো আরো ভালো ক’রে বলতে পারবেন। ছেলেরাও পারবেন। যদিও, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আমরা সবাই অর্ধেক পৃথিবী জানি। যদিও, ‘ব্রেস্ট’, নারীর চোখে যা, পুরুষের চোখে তা নয়। কিন্তু আমাদের শরীরে, চেতনায় তো উভয় লিঙ্গ-সত্ত্বাই নিয়ত বাস করছে। তাই কুট্টী রেবতী যখন লেখেন, ‘Breasts are
bubbles, rising / In wet marshlands’, আর কবি সমর রায়চৌধুরী লেখেন ‘ব্লাউজের টিপবোতাম খুলতেই মেঘ, স্তূপ মেঘ’,
কিংবা জয় গোস্বামী লেখেন, ‘কুমারীর দুই বুকে
ভাওয়াইয়া ভাটিয়ালি’, তখন ঐ বুদবুদ, ঐ জলাভূমি, ঐ মেঘ আর স্তূপ মেঘ আর ভাওয়াইয়া ভাটিয়ালি সুর ছবি এক হয়েই
যায়। জীবনে না হলেও, কবিতায় যায়। আর কবিতা তো জীবনেই ঘটে। সফল-অসফল জানি না। নিজেকে দেওয়া নিজের এই চ্যালেঞ্জটা আমি নিতে চেয়েছিলাম।
উল্লেখ :
১.
বু.ব., মেঘদূত, পৃ. ৬৪
২. ঐ, পৃ. ৬৩
৩. পারহাম শাহরজের্দি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও সমালোচক। ১৯৮০তে জন্ম, তেহরানে। বর্তমানে প্যারিসে
থাকেন। সমসাময়িক ফার্সি কবিতার বহু সংকলন সম্পাদনা করেছেন। অনুবাদ করেছেন।
|