69Th pOsT : ঋষি সৌরক

অপ-রি-কল্পিত – কবিতা-প্যাশন-শিল্প :    সত্যি বলতে যে জায়গা থেকে প্যাশন এর জন্ম হয় তার বেসিক  কোনো ভিত নেই বহিরাংগন এবং অন্তরাংগন কি দেখে ভালোলাগার জন্ম হয় এবং ইহার ইতি ও নেতিবাচক দিক সুস্পষ্টরূপে পৃথকীকরণ এককথায় অসম্ভব !  আমাদের অনুভুতিগুলি এক-একটি অপরিমেয় মিশ্রণ।  নির্দ্বিধায় প্যাশনের শুরু পারিবারিক ব্যাকগ্রাউণ্ড থেকে,যখন কবিতা মানেই ছিলো আবৃত্তি,যিনি লিখছেন তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা যদিও আমি আমার জীবনে প্রথম জীবিত কবি অনেক পরে দেখিএকদিন কবিতা লিখব বলেই কবিতা লেখাটা শুরু করি সবাই কে তাজ্জব বানিয়ে দেবার জন্য,পাশ্চাত্য গানের প্রাথমিক ছাপগুলি নানা রঙ নিয়ে উঠে আসতে থাকে। সেই তার শুরু,অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধুমহলে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া কিম্বা বিখ্যাত না হলেও অ্যাটলিস্ট অন্যকিছু হয়ে যাওয়া,কয়েকজন প্যাক দিতো কয়েকজন খুব বেশী করে পড়তে চাইতো – কাদের জন্য যে লিখতাম ঠিক বলতে পারবো না,তবে আমার ক্লাসের খাতাগুলোর পেছন দিক থেকে লেখা শুরু হত এবং অল্পদিনের মধ্যেই তা খাতার মাঝপাতা ছাড়িয়ে যেতো।ফুলস্পিড লেখা চলছে।তখন প্রায় সকলেই আমি যা লিখি তার মধ্যে আর্ট খুঁজে পায়,কাগের ঠ্যাং বগের ঠ্যাং ভরপুর ইমোশনের পুর সঅব সঅব হজম হয়ে যায়! আমাদের সময় অন্তত আমার ক্ষেত্রে দুনিয়াটা এতো ছোটো ছিলো না আজকের মত,খুব কষ্ট করে একজন কবির কাছে পৌঁছনো যেতো আর যেনোতেনো প্রকারেণ চলতো তার সাথে ভাবনাগত কোনো মিল টেনে বের করবার আপ্রাণ প্রচেষ্টা।এজন্য বহুভুল পথে চালিতো হয়েছে কবিতা নিজেকে চিনেও না চেনার ভান করে পাল্টাতে হয়েছে দুধের স্বাদ ঘোলে !আজ থেকে প্রায় ৭-৮ বছর আগের লেখাগুলি পড়লে এখন হাসি পায় কিন্তু ছবিতে-রঙ্গে-প্রেমে-রোম্যান্সে-পোকাধরা গোলাপে যত্নের সেই ডায়রিগুলো তীব্র জুনুন কে অপারগ বানাতে পারে না,যেটুকু হাতের কাছাকাছি সেটুকু দিয়েই আমাদের প্যাশন শুরু হয় ব্যাখ্যাহীন –এই প্যাশন টা আমার কাছে কবিতা,কারুর কাছে সাঁতার,কারুর কাছে হিপহপ,কারুর কাছে অভিনয় কারুর কাছে খুন... কোনো উদাহরনই প্রকৃত উদাহরন নয় শুধু সামঞ্জস্য খুঁজে পাবার চেষ্টা। শুধু কবিতা ক্যানো কোনোকিছুকেই ডিফাইন করা সম্ভব নয়,সেক্ষেত্রে সামঞ্জস্য টেনে আনা সহজ- কবিতালেখার অনেককারণ থাকতে পারে যাদের সাধারণীকরণ করলে দাঁড়ায় অবিকৃত ইচ্ছের স্বাধীনতা। আমাদের ঈড আমাদের অবিকৃত ইচ্ছেগুলোকে এডিট করে দেয় যাকে চর্মচক্ষু সামাজিকতা বা এটিকেট বলে তা আসলে অবিকৃত কিছু ভাবনার সুশীলবিকৃতিমাত্র! কেনো এই বিকৃতি কেনো মুক্তমনা ভাবাবেগের অবরোধ এর খোঁজ চলছে।রবীন্দ্রোত্তর কল্লোল-শ্রুতি-সঙ্গহত কবিতা-হাংরি থেকে নতুন কবিতা আন্দোলন গুলির দিকে নজর দিলে পরিষ্কার হয়ে যায় কবিতা নিয়ে জুনুনের মাত্রান্তরটি,একদিকে যেমন কম কথা ও অতৃপ্তির প্রবণতা কবিতায় বাড়ে যা বহুমাত্রিক মজার দরজাগুলি খুলে দেয় অন্যদিকে শারীরিক-মানসিক আদিমতাগুলি সংনম ও নমনীয় বাচনভংগিতে তথাকথিতঃ অশ্লীল অপসংস্কৃতিকে প্রসারিত করে আদতার্থে আমাদের ভাবতে বাধ্য করে কবিতার স্পার্ক এবং নীরিহ সরল ঠোঁটকাটা অবিকৃতি নিয়ে, শব্দের আড়ালে আড়ালে জমে থাকা অযৌক্তিক কিছু মান্ধাতা অন্ধকার ঝেড়ে ফেলে দেখানো হয় কবিতা তথা শিল্পের জনু মনন-চিন্তন-নিকটদূরাদি স্পার্কগুলির অপ-রিকল্পিত(কল্পনা-সমকল্পনা-পরিকল্পনা-পুনর্কল্পনা বা রিকল্পনা এবং তার বিকৃতি সাধন) বিমূর্ত প্রতিভাস যার সীমাবদ্ধতা অস্তিত্ববিহীন! এই আন্তরিক তৃপ্তি অভূতপূর্ব যা শুধুমাত্র অনুভব করা যায় অনুভব করানো যায় না – কবিতা একটি বোধ,যার চেতনে-বেতনে-মানসে-মাংসে মিশে আছে মুক্তির অথৈ অধ্রুবক ইমোশান 

তথাপি কবিতার বইয়ের দাম কম হয় আর কামজনতা কেনেও কম কারণ কবিতা বুঝে ওঠার দায়ভারটি একধাক্কায় কামজনতা সামলাতে পারেন্না কাজেই তাদের খুব কষ্ট হয় এবং তারা মিরাক্কেল দেখে ঘুমোতে যান,পঞ্চাশ টাকার একটি কবিতা বই শখ করে কিনতে গেলে মনে হয় আড়াই প্যাকেট ম্যানফোর্স হয়ে যেতো - সত্যি
কথা ! এই ইনফ্লেশন !