71sT pOsT : অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়

এই মোড়ক শুধু তুমি খুলে দিও

এক।।
হারেমের যৌনতা থেকে আহা বসানো এক দিব্যকান্ডের পর এই প্রাসাদ ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল নাছিল না চেনা মশালের রাত্রি ভূমিকায় জ্বালানো বেলাদের এই অবিরাম রাস্তা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া...তোমাকে পাশ কাটিয়ে মুঠো মুঠো জলের দিকে, সন্তানের দিকে
সেই রাতে আমাকে যারা অপরাধী ভেবেছিলো, তাদের সহজ দাগানোয় এখনো ঝুলে আছে মূদ্রিত মানুষ মানুষের তিল জড়ানো ভোরের অহংকার......যাকে তুমি পীড়িতও বলো মাঝে মাঝে স্নানের পরিসরে
প্রাসাদ ঘন হয়ে উঠছে বাতাস পাচ্ছি না কোন দিলরুবাদের ঠিকানায় আহত পুরুষ ঘুমের কেদারায় লিখে রাখছে দু চার লাইন...আর শিরদাড়া বেয়ে নেমে আসছে সেদিনের মাংস
বাগানের দিকে, দরজার কাছে... রবিবারের দিকে
শব্দের তলায় তলায় জমানো নীল আর দোপাট্টায় তুলে রাখা বারুদ
কিলিং পয়েন্ট থেকে মিলিয়ে যাওয়া সেই নাম্নী মেয়েরা যাদের দূরারোগ্য চিঠি যাপনের পরেও আমরা ১০নম্বর জার্সি পড়ে নিজেদের দারুণ দারুণ খেলোয়ার ভাবি ড্রিবলিং ভাবি
এই ভাবতে ভাবতেই নেমে গেলাম বিবাহের সেরিব্রালের দিকে... দিকে বাড়ানো হাতের পশমে কেঁপে ওঠা দংশন লীলায় হাইমাস্টের আরো ওপরে যে অন্ধকার, সেই কালো জামা পড়ে বা পড়িয়ে তুমি অপরাধহীন ...সেজে থাকা Uনিক পদবী গুলি

রোজ সবাই কবিতা নিয়ে ভাবে আর ভাবতে ভাবতে মূর্তি হয়ে ওঠে......নদী হয়ে ওঠেতারপর মেলায় মেলায় টিকিয়ে রাখা আমাদের কিছু মুখাগ্নি আর যেমন প্রেম নয়তেমনি বিবাহ ও নয়
রজনী অপহরণে আর কবিদের নয় ---এবার কবি জ্যোৎস্না ঠেলে দেব জঙ্গলের আসেপাশে
যে লোকটা দাঁড়িয়ে আছে ব্রীজের ওপর, তার নরম আঙুলের কাছাকাছি  এখনো হাড়িয়ার লাইন লেগে আছে স্টল ছাড়িয়ে পৃথা ছাড়িয়ে

দুই।।
এই ৩০/৪০লাইন ফোনালাপের পর ফিরে আসছে রেললাইন ছিটিয়ে দেওয়া স্বহননের দিকে এখন প্রায় মাঝরাত একটা ফাঁকা কামরায় দিনের প্রথম তিনজন তুমুল বসে গেছে বুকের দুইদিকেশিয়ালদার কোন লজের ক্লোজ-মেকাপ থেকে তৈরী হলো রিসিভারের অনলাইনদশক দ্রাঘিমা...
আর কেউ বাড়ি ফিরছে শব্দের ক্লান্তি নিয়ে কিম্‌বা হাঁটতে হাঁটতে এখনো আলো জ্বলছে রান্নাঘরে, বেডরুমে......বাথরুমে
আমার ফলস্‌গুলো ততোক্ষণে শুকিয়ে আধমরা হয়ে আছে বারান্দায় জ্বরের গ্রহ ছাড়িয়ে রোদের বিজ্ঞাপণে নিজেকে দেখতে চাওয়া মানুষটার জন্য হাসপাতাল প্যালেটের নানান টুকরো থেকে আরেকবার নির্মল হয়ে ওঠার ভাবনায়
ফোন বন্ধ
দরজা বন্ধ
কবিতা বন্‌ধের পর.......
                             ........
                                  শিরোনামের ঘুম আর ঘুমের তলানী ফুটিয়ে তোলা মেয়েদের মুখবন্ধ দিয়ে আজ বালিশ রেঁধে রেখেছে ঐরাবতের মাংস
হরিণের অসম্ভব নেচে ওঠা

দি
     তে
           না
      পা
রা

র সমস্ত ব্যথা খালি সোজা হতে চাইছে রেকট্র্যাঙ্গুলারের স্ট্রিপ থেকে স্ট্রিপের জেলায়আর পদবী গুলিতে কাল কোন পরিবার চলে আসবে এই শহর সামলাতেপুরোনো আচার সামলাতেবয়ম থেকে যার গান আর গন্ধ ভেসে আসছে সভাঘরে উৎসবের ছায়ায়
দেখ শেষ লাইনটা এখনো লিখে যাচ্ছে পায়ের কথা......সাজানো ঊরুর পাশ ফেরায় সেরে নেওয়া চাবি আর প্রুফও ঠিকঠাক সেরে উঠবে বলে এইমাত্র নিভে আসা বুকে ঢুকে পড়লো বাসরঘর আর মাছেদের প্রলাপ
তখন মাছির উস্কানিতে মানুষজন স্থির আলোকচিত্র দেখে, নখের কেঁপে ওঠা দেখে এক প্যাকেট নতুন জার্সি বিলিয়ে দিচ্ছে সকলের কাছেআরেকটা দিনের কাছে


তিন।।
হরি আর হরিদের এই কৃতকর্ম মাখা সামলানো তুমি জানো নাজানো না কিভাবে জ্যোৎস্না রাতে একটা খুনের পর চপার ধুতে ধুতে আমরা নেমে এসেছিলাম তোমার আলাপে......ভালবাসার খোলতাই নিয়ে
তখন নিধুর দোকান আর ১০পয়সা কেজি লবণের বস্তার পাশে জুড়ে দিয়েছিলাম একটু পুকুর...সাঁতারের নিয়ম নবারুণ হয়তো জলের রেওয়াজ নিয়ে এইসব বেরিয়ে আসার দিনগুলি যার ছায়ায় ছায়ায় লেগে থাকা ফ্ল্যাশব্যাক
হয়তোবা বর্ষায় ডুবে যাওয়া আমার শহরে fit to বাইসাইকেল কোথায় যাচ্ছি জানি না কিন্তু যাইফাতনা হয়ে ছিপের যাবতিয় সরঞ্জাম চেনা বিদ্যালয় মারফত

মাছ উঠতে শুরু করলো সুতোর দোটানায় লাগা একাগ্রতা,বিষণ্নতা আর জলের মুখোমুখি দাঁড়ানো আমারই উঁকি হাতরানো রোনাটা গুলি
কোথাও শুনতে পাচ্ছি রেডিওতে এখনো কিতাবের পাশে বসে থাকা পায়ের গন্ধপাতায় পাতায় খবর পড়ছেন নীলিমা সান্যাল.........গুলির কৌটোয় রেখেচ্ছিলাম এই আলোটুকু যাকে মাঠের প্রান্ত থেকে উড়িয়েদিলাম ক্রেতার পছন্দে , দাগের উঠোনে আর নিশ্চিন্ত আরোহীর ভেঙে পড়া নিয়ম উল্লাসে
উল্লাসের আশ্চর্য পরিভাষায় মনের সমস্ত রং ঠেলে, বাড়ি ঠেলে একদিন পাহাড়ের এককোণ থেকে সূর্য ওঠা......মনে হয়েছিল তুমি ----তুমিই সেই ফেলে আসা অসুখী মায়া যার কোথাও লেগে আছে কাচের জন্মদাগ আর টোকাদের স্বেচ্ছাচারিতা
এই দরজায় পা না রাখলেই বা ক্ষতি কি ছিল? আর রেখেই যখন দিয়েছি তখন গালের তিল থেকে নামানো অহংকারে
জমিয়ে রাখলাম মৃত মানুষজন এই নাভির চারপাশেআর একটু ব্যথা যার কোচকানো চামড়ায় গা ঘসে দিলে কোন শিরোনাম পাওয়া যাবে না
শুধু বক্সা পাহাড় থেকে আমরা নেমে যাচ্ছি সাঁন্তালবাড়ির দিকেএই সেগুন বাথানে দৃশ্য পংক্তি গুলি তৈরী করছে এই অবধি

  এ
                          ক
                                                  টা
                                                                          ছ বি

            ছবি থেকে বেড়ে ওঠা আমার আমি কে নিত্যদিনের আঁকা তফাতের পাশে
             কিম্‌বা রেটিনার সিগনেচারে নড়ে ওঠা অনুমতি নিয়ে গলতে থাকা মোম
                                       
                            হঠাৎ কখনো তোমাদের আর         
                                                
                                 বৌ-এর শুভেচ্ছায়